Sunday, July 28, 2013

কওমি মাদ্রাসায় যুক্ত করতে হবে কর্মমুখী ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা


www.bhorerkagoj.net
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৩
কওমি মাদ্রাসায় যুক্ত করতে হবে কর্মমুখী বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা
মো. রহমত উল্লাহ
বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারে দানশীল মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। কোনো সরকারই কওমি মাদ্রাসার ভবন তৈরি এবং এর শিক্ষক-শিক্ষর্থীদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনো আর্থিক অনুদান প্রদান করেনি; যেমনটি করেছে আলিয়া মাদ্রাসার ক্ষেত্রে। হয়তো সব সরকারই এমন ধারণা পোষণ করেছে করছে যে, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষালয় শিক্ষিতরা যেহেতু জাতীয় উৎপাদনে ভূমিকা রাখার কোনো যোগ্যতা লাভ করে না
এবং দেশের জিডিপিতে যেহেতু তাদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই সেহেতু কর্মমুখী জনগণের টেক্সের টাকায় গঠিত সরকারি কোষাগার থেকে তাদের পিছনে অর্থ ব্যয় করা অনুচিত। কথা মিথ্যা নয় যে, কওমি মাদ্রাসায় প্রচলিত শিক্ষায় শিখানো হয় না কোনো আধুনিক কর্ম কৌশল। মুখস্ত করানো হয় কেবল কুরআন হাদিস। এর পাশপাশি সেখানে শিখানো হয় না আধুনিক কৃষি কাজ, হাঁস-মুরগি গরু-ছাগল লালন পলন, মাছ চাষের নিয়মকানুন, জামা-কাপড় সেলাই কৌশল, ছোট/বড় কোন ফ্যাক্টরির কাজ, দালানকোঠা নির্মাণ কাজ, কম্পিউটার পরিচালনা, মানুষের প্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের উৎপাদন উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি, এমনকি সঠিকভাবে শিখানো হয় না মাতৃভাষা বাংলা। তদুপরি বড় কিতাবগুলো উর্দুতে পড়ানোর কারণে এবং বাংলা ভালো না জানার করণে করতে পারে না আরবির উত্তম অনুবাদ; যা সাধারণের বোধগম্য হবে সহজেই। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে তারা জানতে পারে না বর্তমান বিশ্বসমাজে টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য রাজনীতি, অর্থনীতি, খণিবিজ্ঞান, তরিৎবিজ্ঞান, তরঙ্গবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, কম্পিউটারবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান ইত্যাদি। তাই তারা অনেক ক্ষেত্রে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় পবিত্র কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞানকে। মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর বাইরে ভেতরে যে অফুরন্ত সম্পদ রেখে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে এবং সেসবের তথ্য প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে বলেদিয়েছেন পবিত্র কুরআনে তা তারা করতে পারে না আমাদের ব্যবহার উপযোগী। ব্যবহার করাও অনুচিত মনে করে অনেক সময়। তারা দার্শনিক বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে সর্বক্ষেত্রে প্রমাণ করার যোগ্যতা লাভ করে না যে, সকল আধুনিক নিয়মনীতি জ্ঞানবিজ্ঞানের উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআন। তদুপরি তারা মেনে নিতে চায় না কওমি মাদ্রসার হুজুর ব্যতীত অন্য কারো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভকারীদের মতামতের চেয়েও অনেক সময় উত্তম মনে করে তাদের হুজুরগণের মতামত। তাদের অনেকে আবার পৃথক করে দেখেন ধর্ম এবং কর্মকে। মানুষের কল্যাণে কোনকিছু উৎপাদন এবং উদ্ভাবনের মতো পুণ্যকর্মগুলো সম্পাদনের দায়িত্ব যেন তাদের নয়; কেবল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়য়া পাপি(?) মুসমান এবং অমুসলমানদের।
এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা মানুষগুলো সঙ্গত কারণেই হয়ে ওঠে কর্মবিমুখ। ছোট বেলা থেকে তারা কখনো ভাবতে পারে না যে, পড়ালেখা শেষ করে তাদের হতে হবে কোনো পণ্য বা সেবা উৎপাদনের উদ্যোগতা বা উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। যাদের দানের টাকায় চলে তাদের এই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাজীবন তারাও ভাবেন না এমনটি। এইসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, আর্থিক সহায়তাকারি এবং সাধারণ মানুষ; সবাই মনে করেন মাদ্রাসায় পড়ে হুজুর হবে, কাজ করবে কেন? একটা বাস্তব উদাহরণ দিই। আমার একজন আত্মীয় বিএ পাস করে নামমাত্র পুঁজি নিয়ে শুরু করে তৈরি পোশাকের ব্যবসা। সে এখন আনেক ধনী। অনেক রকম ব্যবসা তার। যেমন ধর্মকর্মে সক্রিয় তেমন উদার তার দানের হাত। তার দানের টাকায় চলে একাধিক আবাসিক কওমি মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনযাপন। তাকে বলেছিলাম : তোমার তো বিদেশে পণ্য রপ্তানির প্রয়োজনে অনেক কার্টন, পলিব্যাগ অন্যান্য জিনিস কিনতে হয়। এইসব বা অন্য কোনো লাভজনক পণ্য উৎপদনের জন্য মাদ্রাসা এতিমখানাগুলোর পাশে পড়ে থাকা খালি জায়গাগুলোতে ছোট ছোট কারখানা তৈরি করো। তাতে এই শত শত শিক্ষার্থীরা পড়ার অবসরে দিনে এক দুই ঘণ্টা করে কাজ শিখতে করতে পারবে। এই কাজের একটা পারিশ্রমিক দাও। সেটা থেকে তার খরচ চালাতে বলো। ঘাটতিটা তুমি দান করো। যাতে তারা পড়ার পাশাপশি কাজের দক্ষতা লাভ করবে এবং অপরের দানের হাতের দিকে তাকিয়ে না থেকে আত্বনির্ভশীল হতে শিখবে। হয়তোবা বেয়াদবি হবে মনে করে, সে আমার এই প্রস্তাবের উত্তরে মুখ খুলে কিছুই বললো না। কিন্তু বাস্তবে প্রত্যাখ্যান করলো আমার দেয়া কয়েক বছর আগের সেই প্রস্তাব। বোধ করি এইরূপ কাজে সম্মত হলেন না মাদ্রাসার মুফতি বা হুজুরগণ।
উৎপাদনমুখী কাজকর্মের শারীরিক মানসিক অযোগ্যতা নিয়ে এইসব মাদ্রাসা থেকে পাশ করে এসে দান গ্রহণের জন্য হাত বাড়ানো ছাড়া আর কি করবে এই শিক্ষিতরা? তাইতো তাদের অধিকাংশরা ওস্তাদদের মতোই তৈরি করে আরো একটি কওমি মাদ্রাসা এতিমখানা। নিজেরা হয়ে যান হুজুর। এতিম শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেন দান-খয়রাত আহরনে। হয়তো নিজের শিক্ষাজীবনে এমনটি করেছিলেন তিনিও। অতি সাধারণ দরিদ্র মানুষের বাড়ি থেকে চাল তুলে চলে অধিকাংশ গ্রামের কওমি মাদ্রাসার সেই হুজুরদের খোরাক। কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা, জাকাতের টাকা, ফিতরার টাকায় চলে অধিকাংশ এতিমখানার লিল্লাহ বোডিং। মসজিদের দানবাক্সের টাকায় চলে অধিকাংশ ইমাম, মোয়াজ্জিন খাদেমের বেতন। সাধারণত বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে প্রদান করা হয় তাদের খাবার। এতিমদের লিল্লাহ বোডিং এর খাবারও খেয়ে থাকে তাদের দেখবালে নিয়োজিত অনেকেই। ইদানিং অবশ্য শহর উপশহরে গড়ে উঠা কিছু কওমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে মধ্যবিত্ত পরিবারের দুয়েকটি সন্তান। যারা পরিশোধ করছে বেতন খাওয়া থাকার সামান্য খরচ। তারপরও আমাদের দেশের প্রায় সকল কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং হুজুরদের বেতন-ভতার পরিমাণ নির্ভর করছে দেশে বিদেশে অবস্থানরত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের দান-খয়রাতের টাকার ওপর। গ্রামে গঞ্জে শহরে নগরে দেশে বিদেশে বসবাসকারি যে সকল মানুষের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে চলছে দেশের প্রায় সবকটি এতিমখানা, কওমি মাদ্রাসা মসজিদের অধিকাংশ খরচ; তারা কিন্তু এইরূপ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাগত যোগ্যতার দ্বারা অর্জন করেননি এমন পরিমাণ অর্থ উপার্জনের কর্মক্ষমতা, যা দিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে করতে পারেন দান-খয়রাত। আমার উল্লিখিত ধনী দানশীল আত্মীয় কিন্তু বিএ পাস। তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা কাজ করে তারা সবাই টেকনিকেল বা জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত। অনেক টাকা বেতনের বড় বস এমবিএ পাস। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, আমরা আমাদের দান-খয়রাতের টাকায় পরিচালিত কওমি মাদ্রাসায় লাখ লাখ সন্তানকে দিচ্ছি এমনই উত্তম শিক্ষাগত যোগ্যতা যা নিয়ে তারা কাজ পায় না আমাদের প্রতিষ্ঠানেই! আমি জানি না অধিক ছওয়াবের আশায় দান-খয়রাত করে কওমি মাদ্রাসায় পড়িয়ে সুস্থ-সবল অবুঝ শিশুগুলোকে আমরা যারা করে দিচ্ছি কর্ম অক্ষম বা অদক্ষ তার কী পুরস্কার আল্লাহ আমাদের দেবেন। আমাদের নবিজি তো হাত পাততে বলেননি, কাজ করে খেতে বলেছেন। কাজ করতে হলে তো ধর্মীয় জ্ঞান লাভের পাশাপাশি কোনো না কোনো কাজের যোগ্যতা লাভ করতেই হবে। কেউই পণ্য উৎপাদন না করলে কী নিয়ে করা যাবে নবিজির প্রিয় ব্যবসা বাণিজ্য? যেসব মা-বাবা একটা সন্তানকে মাদ্রসায় এবং একটা সন্তানকে স্কুলে পড়ান, তারা কি একটাকে বেহেস্তে আরেটাকে দোজোখে পাঠাতে চাচ্ছেন? এমন কিছু মা-বাবা আছেন যারা এই ভেবে সকল সন্তানকেই কওমি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন যে, আমার তো সম্পদের অভাব নেই সন্তানদের কিছুই করে খেতে হবে না। তারা কি ভেবেছেন যে, ক্রমবর্ধমান কর্মবিমুখ উত্তরাধিকারদের মধ্যে ভাগভাগি হতে হতে নগণ্য হয়ে যাবে এই সম্পদ। তখন তাদেরকে হয় করতে হবে কর্ম, নয় হাত বাড়াতে হবে কর্মঠের দিকে।
একটা দেশের সবাই যদি এইরূপ কওমি মাদ্রাসায় পড়া এবং পড়ানোর কাজ করে তো হুজুরগণের এবং মা-বোন-বিবি-কন্যাদের চিকিৎসার জন্য পুরুষ এবং মহিলা ডাক্তার নার্স পাবো কোথায়? ওষুধ বানাবে কে? সুন্দর সুন্দর মসজিদ মাদ্রাসা বাড়িঘর বানানোর ইঞ্জিনিয়ার পাবো কোথায়? কে বানাবে ফেন, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন সেট? ফেনের বাতাস আর এসির - খাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র বনাবে বা চালাবে করা? ওয়াজ করার জন্য মাইক বনাবে কে? চষাবাদ করার লোক আসবে কোথায় থেকে? কে উদ্ভাবন করবে অধিক ফসল উৎপাদনের কৌশল? কারা আবিষ্কার করবে কাপড় তৈরির সুতা? কারা তৈরি করবে শরীর পোশক পাক-ছাফ করার সাবান? কে আবিষ্কার করবে মাটির ডিলার বিকল্প টয়লেট পেপার? কে উদ্ভাবন ব্যবহার উপযোগী করবে আল্লাহতাআলার দেয়া খনিজ সম্পদ, পানিসম্পদ, বায়ুসম্পদ, বেতার তরঙ্গ আর সৌরশক্তি? করা তৈরি পরিচালনা করবে দ্রুতগামী যানবাহন? কারা করবে এইরূপ দান-খয়রাত? হুজুরগণ তো দান-খয়রাত নেয়, দেয় না সাধারনত! আমাদের দেশটাকে যদি তুলনা করি দুএকটি সাধারণ পরিবারের সঙ্গে; তো কী দেখতে পারবো আমরা? যে পরিবারের একজন উপার্জনক্ষম আর তিনজন অক্ষম সে পরিবারের সচ্ছলতা এবং অগ্রগতি কম। যে পরিবারের দুইজন উপার্জনক্ষম আর দুইজন অক্ষম সে পরিবারের সচ্ছলতা অগ্রগতি মোটামুটি। যে পরিবারের তিনজন উপার্জনক্ষম আর একজন অক্ষম সে পরিবারের সচ্ছলতা অগ্রগতি ভালো। যে পরিবারের চারজন সবাই উপার্জনক্ষম সে পরিবারের সচ্ছলতা অগ্রগতি উত্তম। আবার যে পরিবারের চারজন সবাই অধিক উপার্জনক্ষম সে পরিবারের সচ্ছলতা অগ্রগতি অতি উত্তম। ঠিক এমনিভাবে আমাদের দেশের কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষিত উৎপাদন উপার্জন অক্ষম লাখ লাখ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করছে প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষেরা। তদুপরি যুক্তিযুক্ত কারণে উপার্জন অক্ষম অশিক্ষিত, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ শিশুদের দায়ও তো নিতে হচ্ছে তাদেরকে। সুস্থ সবল সবাই কর্মক্ষম হলে, কর্মে নিয়োজিত হলে নিশ্চয়ই বৃদ্ধি পাবে আমাদের দেশের সচ্ছলতা অগ্রগতি এবং হ্রাস পাবে পরনির্ভরতা পরাধীনতা।
ধর্মের সঙ্গে তো কর্মের কোনো বিরোধ নেই। কর্মে আছে সম্মান, ভিক্ষায় আছে অপমান। দান, সাহায্য, ভিক্ষার মাধ্যমে অর্থ আয় করা গেলেও এসব কোনো কর্ম নয়। যিনি একইসঙ্গে ধর্ম এবং কর্ম দুটোই সম্পাদন করেন তিনিইতো উত্তম। যার ধর্মীয় মূল্যবোধ আছে তার কর্মে কল্যাণ আছে। যার বিবেক নেই, ধর্মীয় মূল্যবোধ নেই তার কর্মে কল্যাণ নেই। সে ফসলে বিষ দেয়, খাবারে ভেজাল দেয়, কাজে ফাঁকি দেয়, অন্যকে ঠকায়, মানুষকে ধোঁকা দেয়, অত্যাচার করে, দুঃশাসন করে। যে সত্যিকার ধর্মপ্রাণ সে এমনসব অপকর্ম করতে পারে না। পরিবার, রাষ্ট্র সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষা যেমন প্রয়োজন; তেমনি সুস্থ, সবল, সচ্ছল আত্মনির্ভরশীল হয়ে মুসলমানের মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন কর্মমুখী বিজ্ঞনমনস্ক শিক্ষা। নৈতিক ধর্মীয় এবং কর্মমুখী বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেই গুটানো সম্ভব মুসমানদের দান গ্রহণের হাত। নিরসন করা সম্ভব দাতাদের কূটকৌশলে সৃষ্ট আমাদের ঐক্যের ফাটল। আত্মনির্ভশীলতার অভাবই আমাদের অনৈক্য অশান্তির প্রধান কারণ। তাই নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী বিজ্ঞানমনস্ক করা জরুরি আমাদের দেশের কওমি মাদ্রসার শিক্ষাব্যবস্থা। উর্দু শব্দ মাদ্রসা এর অর্থ হচ্ছে শিক্ষালয়। মানুষের ইহলৌকিক পারলৌকিক কল্যাণ সাধনের উপযোগী সকল শিক্ষাই তো দিতে হবে আদর্শ শিক্ষালয়ে। কর্মমুখী বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা যে সকল মানুষকেই ধর্মবিমুখ করে না তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে বিশ্বব্যাপী তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত লাখ লাখ মুসলমান শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনবিদ, কৃষিবিদ, বিজ্ঞানি, ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত সচ্ছল আত্মনির্ভশীল মানুষ।
মো. রহমত উল্লাহ : শিক্ষক, কলাম লেখক।
md.rahamotullah52@gmail.com
http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2013/07/26/129468.php

No comments:

Post a Comment