শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, ছড়াকার এবং গীতিকার: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন। [Educationist, Rhymester, Storywriter, Biographer, Columnist and Lyricist of Bangladesh Betar & Bangladesh Television.]
Saturday, March 19, 2016
নারীর সমঅধিকারের আন্দোলন প্রসঙ্গ
নারীর সমঅধিকারের আন্দোলন প্রসঙ্গ
মো. রহমত উল্লাহ্ : শিক্ষক, লেখক।
মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০১৬
সমান অধিকারের অর্থ হচ্ছে যোগ্যতা অনুযায়ী অধিকার বা যোগ্যাধিকার। কোনো কিছু করার বা পাওয়ার যোগ্যতা সমান হলে অধিকার সমান হওয়া আবশ্যক। যোগ্যতার অসমতার যুক্তিযুক্ত কারণেই সব ক্ষেত্রে সবার অধিকার সমান নয়। এই কঠিন সত্যটি শুধু নারী-পুরুষের মধ্যে নয়; পুরুষ-পুরুষ, নারী-নারী তথা সবার জন্যই প্রযোজ্য। তাই কোনো নির্দিষ্ট যোগ্যতা সমান হওয়া সত্ত্বেও সেই যোগ্যতার প্রাপ্যাধিকার সমান না হলে আন্দোলন অপরিহার্য।
একতারা
একতারা
মো. রহমত উল্লাহ্
দৈনিক কালের কন্ঠ, ১১ মার্চ ২০১৬
নাক ডেকে ঘুমায় লুপিন। দেখে, একটা বিশাল বন। খুবই মলিন। পাতা নেই।
ফুল নেই। ফল নেই। পশু নেই। পাখি নেই। ভাবে, এমন হলো কেন?
তাকায় এদিক-ওদিক। দেখে পাশে একটা নদী।
পানি নেই। মাছ নেই। নৌকা নেই। ধুধু বালু চর। ভাবে, এমন হলো কেন?
আবার তাকায় এদিক-ওদিক। দেখে, জালে আটক অনেক মানুষ। চেনা যায় না
কাউকেই। এগিয়ে
যায় কাছে। খুব ভালো করে দেখে। ভেসে উঠে অন্য রকম চেহারা। ঠিক মানুষের মতো
নয়। সাপের মতো! শিয়ালের মতো! হায়েনার মতো! কুমিরের মতো! এলিয়েনের মতো! হাসে
না। মিশে না। কেবল বিবাদ করে। মারামারি করে। কাড়াকাড়ি করে।
পাখি তাড়ানো
পাখি তাড়ানো
দৈনিক জনকন্ঠ, ঝিলিমিলি পাতা, ১২ মার্চ ২০১৬।মো. রহমত উল্লাহ্
পাখি তাড়ায় শিমুল। ক’দিন ধরে এটি তার কাজ। সকাল দুপুর বিকেল। পাখি আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। বাবুই পাখিই বেশি। খেয়ে যায় ধান। পাকাধান যেন সোনার দানা। জমির আইলে শিমুল। হাততালি দেয় জোরে। উড়ে যায় কাছের পাখিরা। গিয়ে বসে আরেক পাশে। শুরু করে ধান খাওয়া। শিমুল যায় সেখানে। হাততালি দেয় আবার। উড়ে যায় সেখানের পাখি। বসে গিয়ে আরেক পাশে। শুরু করে ধান খাওয়া। শিমুল যায় সেই পাশে। হাততালি দেয়। হিস... করে। পাখিরা যায় আগের পাশে। এভাবেই চলে তার কাজ। খুব রাগ ধরে। ইস, কবে যে কাটা হবে ধান। আর কত ছোটাছুটি। আর কত হাততালি।শরীরের ওজনের সমপরিমান মেধাবৃত্তি কতটা শোভনীয়?
শরীরের ওজনের সমপরিমান মেধাবৃত্তি কতটা শোভনীয়?
মো. রহমত উল্লাহ্
| মার্চ ১৭, ২০১৬ - ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
মো. রহমত উল্লাহ্: অধ্যক্ষ, লেখক ও শিক্ষাবিদ।
দৈনিকশিক্ষাডটকমে গত ১৪ মার্চে প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম এরকম ‘শরীরের ওজনের সমপরিমান টাকা বৃত্তি’। প্রতিবেদনে জানা যায়, দুই শিক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠি জেলায় সর্বোচ্চ ফল অর্জন করায়
শরীরের ওজনের সমপরিমাণ টাকা বৃত্তি দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ডাব্লিউ ডাব্লিউ ফাউন্ডেশন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নলছিটি উপজেলার মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০১৩ সালে মাইনুল হাসান ও ২০১৪ সালে মো. মাসরুর
হাসান তমাল ঝালকাঠি জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে।আয়োজক সংস্থা পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা দিয়ে তাদের শরীরের ওজন নির্ণয় করে। এতে মাইনুল হাসান ৫৮
কেজি ওজনে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাসরুর ইসলাম তমাল ৭৮ কেজি ওজনে ৪৯ হাজার টাকার চেক পান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ঝালকাঠির সন্তান। এ জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় যে সবচেয়ে ভালো ফল
করবে, তার শরীরের ওজন নির্ণয় করে সমপরিমাণে টাকা দেওয়া হবে।’
অসমাপ্ত যুদ্ধ
প্রকাশিত: দৈনিক জনকন্ঠ, ১৮
মার্চ ২০১৬
মোঃ রহমত উল্লাহ্
ধপাস করে রিক্সায়
বসে নিজাম। নির্দেশ দেয় রবিউলকে- ‘সোনাইমুড়ি যান’। যেন নিজামের বাঁধা রিক্সাওয়ালা রবিউল। নিজামের অভদ্র আচরণে গা
জ্বালা করে উঠে রবিউলের। অপরিচিত হলেও মেনে নেওয়া কষ্টকর
যাত্রীর এমন আচরণ। নিজাম তো আর অপরিচিত নয়। বরং হাড়ে হাড়ে পরিচিত। ‘না, এখন যামু না’। কঠিন কণ্ঠে বলেন রবিউল। শুধু আজ নয়, আগে আরও অনেকদিন হয়েছে এমন। কোনদিনই
রবিউলের রিক্সায় যাত্রী হতে পারেনি নিজাম। প্রত্যাখ্যাত
হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে। নিজামের খুব
শিক্ষার্থীদের টিসি বিষয়ক হয়রানি আর কতদিন
শিক্ষার্থীদের টিসি বিষয়ক হয়রানি আর কতদিন
দৈনিক ইত্তেফাক, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
মো. রহমত উল্লাহ
বিভিন্ন কারণে প্রায় সারাবছর ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে হয়
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক
স্তরের শিক্ষার্থীরা বাবা -মায়ের বদলিযোগ্য চাকরির কারণে এবং আরো ভাল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ইচ্ছায় বার বার বদল করে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এই বদল যে কেবল শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই হয় তা নয়। বছরের প্রথমার্ধে,
মাঝামাঝিতে, শেষার্ধে তথা যেকোনো সময় হতে পারে।
Subscribe to:
Posts (Atom)