Tuesday, October 21, 2014

আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে কয়েকটি প্রস্তাব



আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে কয়েকটি প্রস্তাব
Priyo.com Saturday, 7 June 2014 - 10:09pm
অবশেষে শিক্ষামন্ত্রনালয় শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগনের মতামত গ্রহনের আয়োজন করতে যাচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। এই ভালো উদ্যোগটি আরো আগে নিলে আরো ভালো হতো। পত্রিকায় সম্ভাব্য যাঁদের নাম দেখলাম তাতে আমাদের মতো নগন্যদের সেখানে গিয়ে মতামত দেওয়ার কোন সুযোগ থাকছে বলে মনে হচ্ছেনা। যদিও . মোহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদের সাথে সাথে বার বার দাবি করেছিলেন, সকলের মতামত গ্রহনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা খোঁজে বের করার জন্য। যাহোক, যাঁদেরকে ডাকা হচ্ছে তাঁরা সফল মানুষ। আমরা আশাকরি এক্ষত্রেও তাঁরা সফল হবেন। প্রায়শই হওয়া প্রয়োজন এমন সভা এবং থাকা উচিৎ নিয়মিত সকলের মতামত আন্তরিক ভাবে বিবেচনার ব্যবস্থা


একটি বেসরকারি স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আমি শিক্ষা প্রসাশন ব্যাবস্থাপনার মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত একজন কর্মী। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে দু'একটি বিষয়ের প্রতি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট গুনীজনদের সবিনয় দৃষ্টি আকর্শন করছি। বিষয় গুলু আপনারা আলোচনা বিবেচনা করবেন আশাকরিhttp://www.priyo.com/files/201406/HSC.jpg
প্রশ্ন ফাঁস প্রসংগে অনেকের আলোচনা সমালোচনা থেকে মনে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনই প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী। হ্যা, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাঁসকৃত প্রশ্ন অতি দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু একারনে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বা হচ্ছে তা সঠিক নয়। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ। নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। প্রতিরোধমূলক পদ্ধতি অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তার আগে প্রয়োজন সেই পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য সৎ, যোগ্য দেশপ্রেমিক আদর্শ মানুষ এবং সেইসাথে প্রয়োজন কঠোর শ্বাস্তির বিধান প্রয়োগ। যদি তা করা না হয়, তো বিফলে যাবে নতুন নতুন পদ্ধতির পিছনে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়। আর লাভবান হবে ঐসব পদ্ধতি আবিষ্কার বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এখানেও চলবে দলীয়করন এবং বানিজ্যিকিকরন। তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহদয়কে সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে, যুগের উপযোগি আইনের প্রনয়ন বাস্তবায়ন। দল মতের উর্ধ্বে উঠে নিশ্চিত করতে হবে, সেই আইন ভংগের কঠোরতম শাস্তি। যেটি . মোহাম্মদ জাফর ইকবালসহ সকলেরই প্রধান দাবি।
যে হারে বাড়ছে + এর সংখ্যা তাতে আর 'দিন পরেই শুরু হবে + (সর্বোচ্চ মেধাবি) বেকারদের মিছিল। তখন সামলানোর উপায় কী? তখন কোথায় গিয়ে ঠেকবে আমাদের মর্যাদা? ভালোদের ভিড়েইতো হারিয়ে যাচ্ছে ভালোরা! তাছাড়া ৩৩% নম্বর দিয়ে(দান করে) পাশ করানোর কী প্রয়োজন এতো এতো অছাত্র? সরকার নিজেইতো কোন চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ দেয় না এদেরকে! তা হলে কেনো প্রদান করা হচ্ছে এই মূল্যহীন সরকারি সনদ? বর্তমান গ্রেডিং পদ্ধতির ত্রুটি বিচ্ছুতি দূর করে এর মানোন্নয়ন বিষয়ে আমি আগেও পত্রিকায় বিস্তারিত লিখেছিলাম। যেখানে দেশের সকল ধরণের সকল স্তরের শিক্ষা মূল্যায়ন মান একই দন্ডে প্রকাশ করার জন্য উপস্থাপন করেছিলাম জি.পি..-১০ পদ্ধতির (GPA-10 System) একটি পুর্নাংগ নমুনা। [তথ্য সূত্র- দৈনিক ইত্তেফাক-০৩ আগস্ট ২০১১] তদুপরি আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটি অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ মহোদয়কে সরাসরি বলেছিলাম বিষয়টি। কোন কাজ হয়নি। এখন আবার সংক্ষেপে বলছি, যদি আমার প্রস্তাবিত সেই জি.পি..-১০ পদ্ধতি প্রবর্তনে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের চরম অনিহা থাকে, তো বর্তমান পদ্ধতিতে আনতে হবে কমপক্ষে দুটি সংশোধনি। () যেহেতু প্রথম থেকেই ৯০% নম্বরে + গ্রেড নির্ধারন করা হয় নি; এবং যেহেতু ৮০% নম্বরে ইতোমধ্যে অনেককেই + গ্রেড প্রদান করা হয়েছে; সেহেতু ৯০% নম্বরে ++ বা গোল্ডেন + নামে অতি মেধাবিদেরকে প্রদান করতে হবে একটি আলাদা গ্রেড। () যেহেতু ৩৩% নম্বর পেয়ে পাশ করা ছেলেমেয়েদেরকে সরকার নিজেই মূল্যায়ন করছেনা; সেহেতু আন্যান্য দেশের মতো ৪৫% বা ৫০% নম্বরে নির্ধারন করতে হবে (পাশ) ডি গ্রেড।
সাধারন শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা গুলুতে আগের তুলনায় নকল কমলেও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষায় এখনো নকলের আভিযোগ আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি এবং এইসএসসি পরিক্ষায় কোন ম্যাজিস্ট্রট থাকে না বিধায় নকলের মহোৎসব চলে। এই মহোৎসব বন্ধ করা জরুরি। মনে রাখতে হবে এসকল শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফলাফল এখন সাধারন শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের সমমান সম্পন্ন। তারা অধিক যোগ্য হলে, শুধু দেশেই নয়, বিদেশে গিয়েও আয় করতে পারবে অধিক বৈদেশিক মূদ্রা। তাই শুধু পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না; বরং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার পরিক্ষা, বিসিএস পরিক্ষাসহ সকল ছোট বড় চাকরির বাছাই পরিক্ষা করতে হবে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি মুক্ত। বিশেষ করে শিক্ষক শিক্ষপ্রতিষ্ঠান প্রধান তথা শিক্ষাপ্রশাসক নিয়োগে বাছাই করতে হবে সর্বাধিক সৎ, যোগ্য, দক্ষ, মেধাবি, নির্লোভ, নিরপেক্ষ, ন্যায়নীতিবান, দেশপ্রেমিক মানুষ। কেননা একজন অসৎ অযোগ্য শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান তথা শিক্ষাপ্রশাসক সারা জীবন তৈরি করে হাজার হাজার অসৎ অযোগ্য নাগরিক এবং ঘটায় প্রশ্ন ফাঁস নকলের মতো হাজারো অপকর্ম।
শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে অপরিকল্পিত ভাবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার সুযোগ। একদিকে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকায় স্বীকৃতি নবায়ন দেওয়া হচ্ছেনা হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, মদ্রাসার; আবার অন্যদিকে এক বা একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পাশেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে আরো এক বা একাধিক স্কুল, কলেজ মদ্রাসা! শিক্ষার্থী সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি ছুটছেন শিক্ষকগন! দিচ্ছেন বিভিন্ন অফার। এমনকি শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত মডেল স্কুল কলেজ গুলুতেও চলছে ফ্রি ভর্তির অফার। অথচ প্রতিটি নতুন সরকার এসেই তৈরি করছে আরো নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! দলীয় কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে চরম অযোগ্য দলীয় নেতা, কর্মী, ক্যাডার! এভাবে অযোগ্য শিক্ষক আর অপরিকল্পিত প্রতিষ্ঠান বাড়ালে কীভাবে বৃদ্ধি পাবে শিক্ষার মান? অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এই আত্মঘাতি প্রকৃয়া। এবং সেইসাথে দলীয় কমিটির কবল থেকে মুক্ত করতে হবে শতকরা ৮০ ভাগেরও অধিক শিক্ষার্থীদের হাজার হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষার মান বৃদ্ধির পূর্বশর্ত হচ্ছে যোগ্য শিক্ষক। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রবর্তনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে যে হারে আধুকায়ন করা হয়েছে হচ্ছে, তাতে যোগ্য শিক্ষক ব্যতীত সঠিকভাবে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করে সর্বাধিক যোগ্যদেরকে উৎসাহিত করতে হবে শিক্ষক হবার জন্য। পাশাপাশি বিদ্যমান শিক্ষকদের ক্লাস গ্রহন ঠিক রেখে বিদ্যালয়েই করতে হবে ধারাবাহিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা। ক্লাস বাদ দিয়ে প্রশিক্ষনে পাঠানো হলে, প্রশিক্ষন না এনে কেবল টাকা নিয়ে চলে আসেন এমন শিক্ষকের সংখ্যাই বেশি। কম্পিউটার চালু করতে জানেন না, নিজের নামটিও টাইপ করতে পারেন না, প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারেন না, এমন শিক্ষকের সংখ্যা এখনো শতকরা প্রায় ৮০ ভাগের অধিক। যা সরকারি প্রাথমিক বেসরকারি মাধ্যমিক স্তরে প্রায় শত ভাগ। আর্থিক সুবিধা প্রদনের আশ্বাস এবং শাস্তি প্রদানের ভয় দিয়ে, আমি খুব কাছে থেকে লক্ষ করেছি, অধিকাংশ শিক্ষকের নতুন পদ্ধতি শিখার গ্রহনের কোন আগ্রহই নেই! তাদের দিয়ে কীভাবে সম্ভব হবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস? তাই অতিবয়সের, অযোগ্যতার, অনাগ্রহের কারনে যারা অর্জন করতে ব্যার্থ হবে কাংখিত মান, তাদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়ে বিদায় করে দিতে হবে দেশ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। এককথায় যেকোনমূল্যে সকল স্তরের শিক্ষায় নিশ্চিত করতে হবে শতভাগ যোগ্য শিক্ষক
কর্মমুখি বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রদান করতে হবে দেশ জাতির কল্যানে আত্মনিয়োগের কঠিন শপথ। অথচ আমার জানামতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি ভাবে নির্ধারিত কোন শপথ বাক্য নেই। ফলে দেশের লাখো প্রতিষ্ঠানে শপথ পাঠ না হওয়া বা যেমন ইচ্ছে শপথ হওয়াটাই স্বাভাবিক। [এমতাবস্থায় বিশেষ করে যেসকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সদা মারতে মরতে প্রস্তুত, তারা কী (সৃজণশীলশ) শপথ গ্রহণ করে তা গভীর ভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন।] সচেতন দায়ীত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মনে করেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেযেমন ইচ্ছে তেমন শপথদেশ জাতির জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়। এতে করে ভিন্ন ভিন্ন মন-মনসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে নতুন প্রজন্ম। ক্রমে বেড়েই চলছে আমাদের আমাদের উত্তরাধিকারদের বিভক্তি। আদর্শ হীন, দয়ীত্ব-কর্তব্যহীন, দেশপ্রেমহীন, মানবতাহীন, সচ্চরিত্রহীন হচ্ছে আমাদের অধিকাংশ সন্তান। তাই শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই সকলের জন্য থাকা চাই সুশিক্ষা অর্জনের শপথ। সঠিক ভাবে নিজেকে নিজের বিবেককে তৈরি করার শপথ। সৎ নীতিবান থাকার শপথ। দুর্নীতি মুক্ত থাকার শপথ। জাতীয়তা বোধ তৈরির শপথ। যেই মজবুত শপথ বুকে নিয়ে সহজেই সম্ভব দেশ, জাতি মানুষের সত্যিকার কল্যাণ। নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শ্রেণী-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক থাকা চাই একটি সহজবুদ্ধ অর্থবহ নিরপেক্ষ শপথ। যা হবে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মতই জতীয় শপথ। লেখা থাকবে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পাঠ্য বইয়ের শুরুতে। বিভিন্ন দিবসে আমাদের জাতীয় সংগীতের আগে/পরে ছাত্র, শিক্ষক, চাকুরে, সাংসদ, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ হাত তুলে বার বার গ্রহণ করবেন আমাদের নির্ধারিত জাতীয় শপথ। যাতে বার বার জাগ্রত হয় আমাদের বিবেক, শানিত হয় আমাদের চেতনা, উজ্জীবিত হয় দেশপ্রেম জাতীয়তাবোধ। সঞ্জীবিত হয় প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অসীম শক্তি। সেই শপথ টি হতে পারে এই রূপ: ‘আমি শপথ করছি যে, -সদা সত্য কথা বলবো সৎ পথে চলবো। ছোটদের স্নেহ বড়দের মান্য করবো। সুশিক্ষা অর্জনে আমরণ আন্তরিক থাকবো। প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র স্বধর্মের সকল বিধি-বিধান মেনে চলবো। আমাদের জাতীয় চেতনা, একতা স্বাধীনতা সু্রক্ষায় সর্বদা সক্রিয় থাকবো। হে সর্বশক্তিমান, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন সুনাগরিক হয়ে- প্রতিষ্ঠান, মাতৃভূমি মানুষের কল্যাণে আত্ম নিয়োগ করতে পারি। আমিন
-মো. রহমত উল্লাহ্
অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা
Email: rahamot21@gmail.com
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/06/07/73585.html#sthash.z4jwM3yY.dpuf


No comments:

Post a Comment